সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধায় রমজান মাসে হঠাৎ করে বিভিন্ন হাট-বাজারে চালের দাম বেড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষ। শহরের কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা চাল কেজি প্রতি ৪৬-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিকন চাল ৫৩-৬৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আতব চাল ৮০-১২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
বাজার করতে আসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আলম মিয়া বলেন, সারাদিন বেচাকেনা করে যে টাকা আয় হয় তা দিয়ে বাজারে আসার সাহস হয় না। মাছ মাংস দূরে থাক সবজি কেনারও সামর্থ্য আমাদের নেই। মকসুদ মিয়া বলেন, যেকোনো পণ্যের দাম বাড়লেও কমে ধীরগতিতে। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মানুষের আয় বাড়ছে না। সুমন মিয়া বলেন, আমরা চাকরিজীবী। সারাবছর চাল কিনে খেতে হয়।
এক মণ চাল কেনার টাকা নিয়ে বাজারে আসলাম। এসে দেখি দাম বেশি। বাধ্য হয়ে কয়েক কেজি চাল কম কিনলাম। চালের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। কিন্তু এক শ্রেণির ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
চাল ব্যবসায়ী আজাদ মিয়া বলেন, আমরা চালের দাম বাড়াইনি। বেশি দামে চাল কিনতে হয়েছে। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি ব্যবসায়ী সাজু মিয়া বললেন, রমজান শ্ররুর আগেও দুইশ টাকার ওপরে ব্রয়লার মুরগির মাংস বিক্রি করেছি। গতকাল থেকে কম দামে কিনতে পারছি, সেজন্যে আমরাও দাম কমিয়ে দিয়ে সামান্য লাভে বিক্রি করছি। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আফসানা পারভিন বলেন, প্রতিদনই বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। চালসহ কোনো জিনিষের দাম যাতে অযৌতিকভাবে না বাড়ানো হয় সেজন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে। তারপরও কেউ দাম বাড়ালে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।